কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৩৬৮ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৫

কুড়িগ্রাম থেকে মোস্তাফিজুর রহমান : ২৫ জুলাই ২০২৫ খ্রি. কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে- বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানাধীন ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতাড়ী এলাকা থেকে দুই জন মাদক কারবারিকে ২ হাজার ৩৬৮ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রয়ের নগদ অর্থ জব্দসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন ধানাইদহ এলাকার মোঃ শাহ আলম (৪০) ও পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন নতুন রুপপুর এলাকার সানজিদা ইয়াসমিন (২০)।

ফুলবাড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মাদক উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে ফুলবাড়ী থানাধীন রাবাইতাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ৩৬৮ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রয়ের নগদ অর্থ জব্দসহ মাদক কারবারি নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন ধানাইদহ এলাকার মোঃ শাহ আলম (৪০) ও পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন নতুন রুপপুর এলাকার সানজিদা ইয়াসমিন (২০) দ্বয়কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি মোঃ বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২৩৬৮ পিস ইয়াবা সহ ২ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। এই সংক্রান্তে ফুলবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যহত থাকবে।

 

এখানে উল্লেখ্য যে, ২৪ জুলাই-২০২৫ খ্রি. ফুলবাড়ী থানাধীন ফুলবাড়ী ইউনিয়নের কুঠি চন্দ্রখানা এলাকা থেকে ৫০২ পিস ইয়াবাসহ ২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ফুলবাড়ী থানাধীন কুঠি চন্দ্রখানা এলাকার মোঃ আশরাফ আলী (৫০) ও একই এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪০)।

এর আগে ২৩ জুলাই-২০২৫ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি শিউলী’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। এ-তো মাদকের চালান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢোকে কিভাবে। এর দায়দায়িত্ব কে নিবে-? যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী এ-র দায়ভার এড়াতে পারেন কি-? পুলিশকে যদি সবকাজ করতে হয়, তাহলে এতো বাহিনীর প্রয়োজন কি?

মাদককারবারীদেরকে পরিচালনা করেন যারা, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় দায়িত্বশীল বাহিনী প্রশংসনীয় অনেক ভালো কাজ করলেও তা টেকসই উন্নয়নে ফলপ্রসু হবে না মর্মে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন সচেতন জ্ঞানীজন।