শত্রুতার জেরে ধানের চারা নষ্ট করার অভিযোগ মানবকথা মানবকথা প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৫ পাবতীপুর প্রতিনিধি মোঃ মহসিন আলী দিনাজপুর পার্বতীপুরে পূর্ব শত্রুতার বলি হয়েছে আমন ধানের চারা! সবে মাত্র গজিয়ে উঠা ধানের চারাগুলোকে কীটনাশক তুলিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আজ সোমবার ১৮ আগষ্ট ২৫ ইং উপজেলার চন্ডিপুরে ইউনিয়নের বড় হরিপুর মৌজা ধরলাম পাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে উপজেলা ভুমি অফিসে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শালন্দার শাহাপাড়া এলাকার আল হজ্ব আবুল কাশেম ছেলে মিজানুর ও মাফিজুল ইসলাম ও বড় ভাই মাবুদ ও মমিনুল রশিদ এর জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে সোমবার বেলা ১১ ঘটিকা সময় মিজানুর রহমান ও তার ভাই মাহফিজুল ইসলাম আরো কয়েক জন মিলে ১১ শতক জমিতে কীটনাশক ঢেলে দেন। ১ শতক জমির রোপা নষ্ট করে ফেলে এতে রোপণকৃত ধানের চারাগুলো হলদে হয়ে বিবর্ণ রং ধারণ করে। এ ঘটনায় কৃষকের পনের হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত মমিনুর এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক মমিনুর রশিদ বলেন, আমরা পতৃক সূত্র ওই জমি প্রায় ২০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। মাহামুদা একটি দলিল তৈরি করে দেয়। মাহামুদা মোহরানা সুত্রে জমি পাবে বলে দাবি করেন মমিনুর ও মাবুদ এর কাছে ।প্রতারক মিজানুরের বুদ্ধি দিয়ে মাহামুদাকে কু পরামর্শ দিয়ে সাব রেজিস্ট্রারের নিয়ে ৯০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেয় । এ দলিলের বলে আমন ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। ফারায়েজ মোতাবেক জমিতে না যে সব চাইতে দামি জমির দিকে নজর যায় প্রতারক মিজানুরের। এলাকার বাসিন্দা মোকছেদ কাদের বলেন, আমি অনেক বছর ধরেই ওই জমি দেখি আসিতেছি মমিনুর রশিদ চাষাবাদ করতে দেখা যায় । এ বিষয়ে মহসিন আলী বলেন, জমিতে কীটনাশক দেয়ার ঘটনা রোপা নষ্ট হওয়ার ঘটনায় সত্য বলেন।এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাকে আইনের আওতায় আনা হোক । তিনি বলেন, ২০০৫ সালে মৌখিক বন্টক হয়ওই জমি বাবা মারা যাওয়ার পরএবং দীর্ঘ ২০ বছর জমিতে চাষাবাদ করেছি। মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় এবারো চাষাবাদ করতে গেলে তারা বিভিন্নভাবে চাষাবাদে বাধা দেয় । তবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন বলেন, অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: