প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫, ৫:০৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ১২:৩৫ পি.এম
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেল ৪৯ জন শিক্ষার্থী
জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবারও মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪৯ জন শিক্ষার্থী। গত কয়েক বছর ধরে কলেজটির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৪৯ জন। এর মধ্যে ১২ জন ছাত্র ও ৩৭ জন ছাত্রী। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে জানান, এ বছর আমাদের কলেজ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪৯ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেকের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ হয়নি।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ২৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৭০ জন। এরমধ্যে এবার ৪৯ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৫ সালে ৫৩ জন ,২০২৪ সালে ৫৯ জন, ২০২৩ সালে ৪২ জন, ২০২২ সালে ৩৯ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। এছাড়াও কলেজটি থেকে প্রতি বছর উত্তীর্ণ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
জানা যায়, সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কের পাশেই সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। এর আগের নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। ২০২০ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নাম বদল করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ করে। কলেজের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক ভালো ফলাফল অর্জন করে ছড়িয়ে যাচ্ছে মেধার দৃপ্তি।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন,এটি রাজনৈতিক কোলাহলমুক্ত প্রতিষ্ঠান। পারিবারিক বলয়ে এখানকার শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। শতভাগ মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির বৈশিষ্ট্য হলো, চাপমুক্ত পরিবেশে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পাঠদান। সরকারি কারিকুলামের বাইরে পড়াশোনা ও পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাই প্রতি বছর উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর সুনাম রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফলাফল করছে শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতি বছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মো: রুকুনুজ্জামান, বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: ০১৫৫৬৩০৫০২৮
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত