উলিপুর পৌরসভার পতিত কাউন্সিলর দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও মানবকথা মানবকথা প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৫ কুড়িগ্রাম থেকে মোস্তাফিজুর রহমান : কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার ওয়ার্ডের অপসারিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও। জানাযায়, চেকের মামলার বিবরনের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিনে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানা যায়, উলিপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের অপসারিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রতারক আসাদুজ্জামান রাজু ঠিকাদারীর কাজে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিতো এবং লেবার পেমেন্টর জন্য নগদ অর্থ নিতো উলিপুর বাজারের ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার মোঃ আব্দুর রউফ এবং ফরহাদ হোসেন, সাজাহান সিরাজ, হান্নান কবির ও মোঃ ওয়াইলুল মিয়া’র নিকট। সেখানে এবং অন্যখানে দীর্ঘদিন থেকে লেনদেন করার এক পর্যায়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে আত্নগোপনে চলে যায় প্রতারক আসাদুজ্জামান রাজু। এরপর ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ, সাজাহান সিরাজ এবং ওয়াইলুল মিয় টাকার জন্য কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ কামাল কবির লিটন ও মোঃ আরিফুর রহমান (শিমুল) কে দিয়ে প্রথমে উকিল নোটিশ করে এতে কোনো প্রকার সারা না দেওয়ায় এবং প্রতারক আসাদুজ্জামান রাজু’র দেওয়া চেকের টাকা ব্যাংকে না থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তাগণ উক্ত চেকগুলো ডিজঅনার করে। পরে পাওনাদারগণ চেক জালিয়াতির আইনে চেকের নিয়মিত মামলা করেন। মামলা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। পাওনাদারগণ হলেন:- অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রউফ (ষাট লাখ), ওয়াইলুল মিয়া (দশ লাখ ষাট হাজার), ফরহাদ হোসেন (আটাশ লাখ পঞ্চাশ হাজার), সাজাহান সিরাজ (সতেরো লাখ চল্লিশ হাজার) এবং হান্নান কবির (আঠারো লাখ আশি হাজার) টাকা। চেকের নিয়মিত মামলা হওয়ার পর সে এলাকায় এসেই একটি মিথ্যা মামলার সৃষ্টি করে মোটা অংকের পাওনাদার আব্দুর রউফ, ফরহাদ হোসেন, হান্নান কবির এবং ওয়াইলুল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আরও অনেকে প্রতারক আসাদুজ্জামান রাজু’র কাছে টাকা পায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- আসাদুজ্জামান রাজু সে তার দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতো ঠিকাদারি কাজ। আবার কখনো অনেককে জিম্মি করে বিভিন্নরকম সুবিধা নিয়ে চলতো রাজকীয় সান শওকতে। তার উত্থান তার আপন চাচা আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক কাউন্সিলর ও পতিত উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এর হাত ধরে। চাচা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং নিজে পৌর আওয়ামিলীগ প্রভাব খাটিয়ে কাউন্সিলর হওয়ায় কোন কিছুই তোয়াক্কা করতোনা বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক এবং ভুক্তভোগীগণ। SHARES সারা বাংলা বিষয়: